রাধা
আমারওতো অনেক কাজ থাকতে পারে
তাইনা?
অপেক্ষাতে অনেকটা সময় বসিয়ে রেখেছ
অস্থিরচিত্ত আমি
এ মুহূর্তে তোমার জলকেলিতে ব্যস্ত হবার কথা
বলো রাধা: এ
তোমার কেমন
রুটিনবিহিীন অসংলগ্ন প্রথা?
খোলা জানালায় এক বসন্তখচিত মুখ
অনেক দিন পর, প্রতীক্ষার অনেক রূদ্র সময় পর
ও বাড়ির জানালাটি হঠাৎ খুলে গেল আজ
সাথে সাঁই সাঁই করে ছুটে গেল সকল চঞ্চলতা
আবারো ঝাঁপটে ধরলো বৃহন্নলা সময়
তাড়িয়ে তাড়িয়ে নিয়ে চললো
কোন এক হেমন্ত সন্ধার অন্ধকারে
অদ্ভুত, ঘোরলাগা কোন জোনাকের আকারে।
এখন আর অতোশতো মনে পড়েনা
কিছুটা অস্পষ্টতা যেনো
শুধু উঁকি দিয়ে যায় শিহরণ জাগানিয়া বাতাস
মনের কুঠুরীতে জমা হয়ে থাকা গুটিকয়েক ঝোপবন
আলোহীন, স্পর্শহীন
কিছু বৃষ্টির ছিটেফোঁটায় সময় যাপন
সম্মোহিতের ন্যায় আনমনেই বলে ওঠি
বসন্তখচিত মুখ: জানতে পারোনি, বুঝতে পারোনি
দুরন্ত সময়ে ছিলে কতোটা আপন।
আজ অবেলায়, এতোগুলো রজনী পর
চারপাশ জুড়ে শুনি হারানো বাঁশির সুর
প্রতীক্ষায় থাকা রাত্রি প্যাঁচার মতো খুঁজে
বেড়াই
একেবেঁকে ছুটে চলা পথের উৎসমুখ
বুঝতে পারি, একেলা পথ হেলেছে কোন দিকে
দ্বিধাহীন দূরে, ক্রমশ দূরে, সে হয়েছে ফিকে।
[“আমায় কেন বসিয়ে রাখ একা দ্বারের পাশে” এ চরনটি
“শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” এর “গীতাঞ্জলি” কাব্যগ্রন্থের ১৬ নং গান থেকে সংগৃহীত]
***************
২৭শে আশ্বিন, ১৪১৯
মতিঝিল, ঢাকা।