আবারো ফিরে দেখি সে আগের মতোন
খুঁজে বেড়াই উড়াল দেয়া হারানো শালিক
সুদূর কোন তীরের গাছ-পাতায় শ্যামল ঘাসবন
গ্রাস করে নেয়া দুরাগত শৈশবের দুরন্ত ক্ষণ
আহ! রুদ্র ঘনকৃষ্ণে সিক্ত তরঙ্গায়িত মন।
মেঘেদের আগমনীতে জাগতো বিষ্ময়
বিধ্বংসী গর্জনে দিকভ্রান্ত হয়ে যেতো
নীড়মুখী উড়ে চলা বলাকার দল
খাবি খেতে ব্যস্ত হতো কৈ-মাছের ঝাঁক
আড়ম্বরে শেষ হতো এক দুরন্ত দিনের বাঁক।
এক পলকে ঘুরে আসা কোন বৈশাখী দুপুরে
তালপুকুরের কাদা-জলে হতো জড়াজড়ি
অবাক চোখে মুখোমুখি হত খেঁকশিয়ালদের দল
টলোমলো জলে খেলা জমানো সে দামাল বাতাস
চৈতি-বকুলের গন্ধে মাতাল উদাসী আকাশ।
হারিয়েছে সেই কবে বড়শি ফেলা বিলের ঝাড়
ঝাঁকিজালে আটকে পড়া রুইয়ের মুখ
নক্ষত্র খচিত রাতে তারাদের কথন
হারিয়েছে স্বচ্ছ সরোবরে একপশলা ঐকতান
বন-বাঁদাড়ে খোঁজ লাগানো জোনাকিদের গান।
গাছ-ছায়ারা আজ যোজন যোজন দূরের নীপবন
তবুও গোধূলী বেলায় ক্রমাগত খুঁজে ফিরি
আমার ফেলে আসা আপন ভুবন।
[আধুনিক বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তিতুল্য প্রবাদ পুরুষ, স্বপ্নদেখানো প্রিয় “নীল হাতির” লেখক সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রিয় “হুমায়ূন আহমেদ” এর প্রতি উৎসর্গীকৃত]
*********
১২ই শ্রাবণ, ১৪১৯
মতিঝিল, ঢাকা।
খুঁজে বেড়াই উড়াল দেয়া হারানো শালিক
সুদূর কোন তীরের গাছ-পাতায় শ্যামল ঘাসবন
গ্রাস করে নেয়া দুরাগত শৈশবের দুরন্ত ক্ষণ
আহ! রুদ্র ঘনকৃষ্ণে সিক্ত তরঙ্গায়িত মন।
মেঘেদের আগমনীতে জাগতো বিষ্ময়
বিধ্বংসী গর্জনে দিকভ্রান্ত হয়ে যেতো
নীড়মুখী উড়ে চলা বলাকার দল
খাবি খেতে ব্যস্ত হতো কৈ-মাছের ঝাঁক
আড়ম্বরে শেষ হতো এক দুরন্ত দিনের বাঁক।
এক পলকে ঘুরে আসা কোন বৈশাখী দুপুরে
তালপুকুরের কাদা-জলে হতো জড়াজড়ি
অবাক চোখে মুখোমুখি হত খেঁকশিয়ালদের দল
টলোমলো জলে খেলা জমানো সে দামাল বাতাস
চৈতি-বকুলের গন্ধে মাতাল উদাসী আকাশ।
হারিয়েছে সেই কবে বড়শি ফেলা বিলের ঝাড়
ঝাঁকিজালে আটকে পড়া রুইয়ের মুখ
নক্ষত্র খচিত রাতে তারাদের কথন
হারিয়েছে স্বচ্ছ সরোবরে একপশলা ঐকতান
বন-বাঁদাড়ে খোঁজ লাগানো জোনাকিদের গান।
গাছ-ছায়ারা আজ যোজন যোজন দূরের নীপবন
তবুও গোধূলী বেলায় ক্রমাগত খুঁজে ফিরি
আমার ফেলে আসা আপন ভুবন।
[আধুনিক বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তিতুল্য প্রবাদ পুরুষ, স্বপ্নদেখানো প্রিয় “নীল হাতির” লেখক সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রিয় “হুমায়ূন আহমেদ” এর প্রতি উৎসর্গীকৃত]
*********
১২ই শ্রাবণ, ১৪১৯
মতিঝিল, ঢাকা।